Logo

আন্তর্জাতিক    >>   ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি: চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তি ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি: চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তি ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি: চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তি ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে একটি বিবৃতি জারি করেছে, যাতে তারা বাংলাদেশে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার এবং জামিন নাকচ করার ঘটনাটি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছে। এই ঘটনার পটভূমি হচ্ছে, বাংলাদেশে সম্প্রতি চরমপন্থী উপাদানগুলির দ্বারা হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর একাধিক হামলা ও সহিংসতার ঘটনা। এসব হামলায় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, চুরি, ভাঙচুর এবং দেবতাদের মন্দিরের অপবিত্রতার মতো ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে, যা দেশের সামাজিক অস্থিতিশীলতার দিকে ইঙ্গিত করছে।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার ও  জামিন নাকচ করার বিষয়টি আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে দেখছি। বাংলাদেশের হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর একাধিক হামলার পরে এ ঘটনা ঘটলো।
 
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই ঘটনার অপরাধীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকলেও একজন ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ চাপানো হয়েছে; যিনি শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে ন্যায্য দাবিগুলো উপস্থাপন করেছিলেন।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, যখন এসব ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীরা এখনও সনাক্ত হয়নি, তখন একজন শান্তিপূর্ণভাবে ন্যায্য দাবি উপস্থাপনকারী ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস একজন সনাতন ধর্মীয় নেতা, যিনি বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষার জন্য দীর্ঘদিন ধরে সোচ্চার ছিলেন। তার গ্রেপ্তারের ফলে আরও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে ওই সময় যখন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে আক্রমণ তীব্র হয়েছে।

এর পাশাপাশি, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে যে, শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানানো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের ওপর হামলা হওয়ার বিষয়টিও তারা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে। এমন পরিস্থিতিতে, ভারতের সরকার বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যেন তারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিশেষ করে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারকে সমুন্নত রাখে।

উল্লেখ্য, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আজ দুপুর ১টায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীসহ সনাতনীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পাশাপাশি, কানাডা, নিউইয়র্কসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশেও সনাতনী সম্প্রদায়ের সদস্যরা প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের প্রশাসনকে আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিয়ে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে, যাতে তারা তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ এবং মত প্রকাশের অধিকার নিশ্চিতভাবে উপভোগ করতে পারে।